, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা ও দোকান লুটপাটের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে সাবেক রেলমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, অভিযোগ শিবিরের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুরে মাদক বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ৪০ দিন জামায়াতে নামাজ পড়ে সাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ পেল ১০৪ বয়স্ক-কিশোররা চৌদ্দগ্রামে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শাকতলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সাংসদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল গাড়িবহরের টাকার উৎস জানালেন সারজিস আলম কুমিল্লায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ১৪৪ ধারা ভেঙে শহীদ মিনারে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মাঝে হাতাহাতি, আহত ১৫
গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে হত্যাযজ্ঞ, নেতানিয়াহু বললেন ‘শুরু মাত্র’

  • প্রকাশের সময় : ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ পড়া হয়েছে

অনেকেই সেহরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অনেকেই আবার খাওয়া শুরু করেছেন। এমন সময় আকস্মিকভাবে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বর্বর এই হামলায় কমপক্ষে ৪০৪ জন নিহত, ৫৬২ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও অনেক মানুষ আটকে আছেন।

এমন অবস্থায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যা পুনরায় শুরু করাকে কেবল “শুরু মাত্র” বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের আলোচনা হবে তীব্র “আক্রমণের মধ্যে”।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

হামলার পর সামনে আসতে থাকা একের পর এক ছবিতে দেখা যায়, নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। ভোররাতে বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

পরে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি কয়েক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছিলাম, যদিও বিনিময়ে আমরা জিম্মিদের ফেরত পাইনি।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আমরা দোহায় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলাম এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবও গ্রহণ করেছি, কিন্তু হামাস সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, উইটকফ উভয় পক্ষের কাছে একটি হালনাগাদ প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, যেখানে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য পাঁচজন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

এরপর হামাস শুক্রবার জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের জন্য দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা পুনরায় শুরু করার অংশ হিসেবে একজন ইসরায়েলি-আমেরিকান সৈন্যের মুক্তি এবং চার দ্বৈত নাগরিকের মৃতদেহ ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।

কিন্তু নেতানিয়াহু পাল্টা বলেন, “আমি হামাসকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে যদি তারা আমাদের বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে আমরা আবার যুদ্ধ শুরু করব — এবং আমরা তা করেছি।”

ইসরায়েল অনুমান করছে, গাজায় ৫৯ জন ইসরায়েলিকে আটক করে রাখা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত। বিপরীতে ৯ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। যাদের অনেকেই নির্যাতন, বঞ্চনা এবং চিকিৎসা অবহেলার শিকার হয়েছেন এবং অনেকেই মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার রিপোর্টে উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, “এটি (গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা) কেবল শুরু। এখন থেকে আমরা হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান তীব্রতার সাথে পদক্ষেপ নেব, কেবল আক্রমণের মুখে আলোচনা করব এবং আমরা আমাদের সমস্ত যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”

আনাদোলু বলছে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিন দফার এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ গত ১ মার্চ শেষ হয়ে যায়। তবে নেতানিয়াহু দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানান।

কারণ এই ধাপেই যুদ্ধ চূড়ান্তভাবে শেষ করা এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল। আর হামাস মূলত জোর দিয়েছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের ওপরেই।

চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা ও দোকান লুটপাটের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে হত্যাযজ্ঞ, নেতানিয়াহু বললেন ‘শুরু মাত্র’

প্রকাশের সময় : ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

অনেকেই সেহরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অনেকেই আবার খাওয়া শুরু করেছেন। এমন সময় আকস্মিকভাবে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বর্বর এই হামলায় কমপক্ষে ৪০৪ জন নিহত, ৫৬২ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও অনেক মানুষ আটকে আছেন।

এমন অবস্থায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যা পুনরায় শুরু করাকে কেবল “শুরু মাত্র” বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের আলোচনা হবে তীব্র “আক্রমণের মধ্যে”।

বুধবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

হামলার পর সামনে আসতে থাকা একের পর এক ছবিতে দেখা যায়, নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। ভোররাতে বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

পরে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি কয়েক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছিলাম, যদিও বিনিময়ে আমরা জিম্মিদের ফেরত পাইনি।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আমরা দোহায় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলাম এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবও গ্রহণ করেছি, কিন্তু হামাস সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, উইটকফ উভয় পক্ষের কাছে একটি হালনাগাদ প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, যেখানে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য পাঁচজন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

এরপর হামাস শুক্রবার জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের জন্য দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা পুনরায় শুরু করার অংশ হিসেবে একজন ইসরায়েলি-আমেরিকান সৈন্যের মুক্তি এবং চার দ্বৈত নাগরিকের মৃতদেহ ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।

কিন্তু নেতানিয়াহু পাল্টা বলেন, “আমি হামাসকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে যদি তারা আমাদের বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে আমরা আবার যুদ্ধ শুরু করব — এবং আমরা তা করেছি।”

ইসরায়েল অনুমান করছে, গাজায় ৫৯ জন ইসরায়েলিকে আটক করে রাখা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত। বিপরীতে ৯ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। যাদের অনেকেই নির্যাতন, বঞ্চনা এবং চিকিৎসা অবহেলার শিকার হয়েছেন এবং অনেকেই মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার রিপোর্টে উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, “এটি (গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা) কেবল শুরু। এখন থেকে আমরা হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান তীব্রতার সাথে পদক্ষেপ নেব, কেবল আক্রমণের মুখে আলোচনা করব এবং আমরা আমাদের সমস্ত যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”

আনাদোলু বলছে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিন দফার এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ গত ১ মার্চ শেষ হয়ে যায়। তবে নেতানিয়াহু দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানান।

কারণ এই ধাপেই যুদ্ধ চূড়ান্তভাবে শেষ করা এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল। আর হামাস মূলত জোর দিয়েছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের ওপরেই।